কাজের সন্ধানে এবং আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ভারতে আটক হওয়ার পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৩ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরি। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।
ফেরত আসারা হলেন-চাঁদনি আক্তার, খালেদ মাহমুদ, সাগর মল্লিক, দিব্য পারনি, তামিম ইসলাম, সাবা ইসলাম, দিয়া মন্ডল, রিয়া মন্ডল, জান্নাত আক্তার, বৃষ্টি বিশ্বাস, মো. আবদুল্লাহ, অংকুস মন্ডল, ও ফরিদা খাতুন। এরা লালমনিরহাট, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, যশোর ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ফেরত আসারা কাজের সন্ধানে এবং আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। সেখানে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় ও অবৈধভাবে বসবাস করার অভিযোগে সে দেশের পুলিশের কাছে আটক হয় তারা। আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা ধ্রুবাশ্রম ও সুকন্যা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়।দু-দেশের মধ্যে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে আজ তারা দেশে ফিরে এসেছেন। ট্রাভেল পারমিটের কার্যক্রম শেষে ফেরত আসা ১৩ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবি সমিতি তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।’
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ‘ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবি সমিতির নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
খুলনা গেজেট/এএজে