করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর কষ্ট লেগেছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর, কারণ কয়েকদিন খেলতে পারবেন না প্রিয় ফুটবল। গুনে গুনে ১৮ দিন পর মাঠে নামলেন, পুঞ্জীভূত কষ্টের বহিঃপ্রকাশ করলেন জোড়া গোল করে। রোববার সিরি ‘আ’য় স্পেজিয়ার মাঠে রোনালদোয় অনুপ্রাণিত জুভেন্টাস জিতেছে ৪-১ গোলে।
ফ্রান্সের বিপক্ষে উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচ খেলার পর দিন ১৩ অক্টোবর করোনা পজিটিভ হয় পর্তুগাল অধিনায়ক রোনালদোর। ইচ্ছা ছিল বার্সেলোনার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ফেরার। কিন্তু ফের পজিটিভ হওয়ায় লিওনেল মেসির মুখোমুখি হতে পারেননি পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
দুটি সিরি ‘আ’ ও দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে ক্লাবের খেলা মাঠের বাইরে থেকে দেখেছেন। গত শুক্রবার করোনা টেস্ট নেগেটিভ হলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন রোনালদো। অবশেষে ক্লাবের জার্সি পরলেন। কিন্তু একাদশে ছিলেন না সিআরসেভেন। ৫৬ মিনিটে পাউলো দিবালার বদলি হয়ে মাঠে নামেন। স্কোর ১-১ এ থাকা ম্যাচটি বদলে যায় খুব দ্রুত।
সুপার-সাব হয়ে মাঠে নামার দুই মিনিট যাওয়ার পরই গোল করেন রোনালদো। আলভারো মোরাতার কাছ থেকে বক্সের মধ্যে বল পান তিনি। সামনে শুধু ছিলেন স্পেজিয়া গোলকিপার ইভান প্রভেদেল। তাকে বোকা বানিয়ে গোল দিয়ে প্রত্যাবর্তন স্মরণ করে রাখেন রোনালদো।
জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড আরও একটি গোল করেন ৭৬ মিনিটে। ফেদেরিকো চিয়েসাকে নিজেদের বক্সে ফাউল করেন স্পেজিয়ার পাউলো বার্তোলোমেই। পেনাল্টি থেকে পানেনকা শটে লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো। মাঝে দলের তৃতীয় গোল করেন আদ্রিয়েন রাবিওট।
দুর্দান্ত জয়ের পথে মোরাতা ১৪ মিনিটে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ৩২ মিনিটে থোমাস পোবেগা স্বাগতিকদের সমতায় ফেরায়। দুই দলের এই সমতাকে ভেঙে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন রোনালদো। ৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকা জুভেন্টাস ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে।
জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের অ্যাক্রোবেটিক গোলে উদিনেসের মাঠে ২-১ এ জিতেছে এসি মিলান। তাতে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে দলটি।
খুলনা গেজেট/এএমআর