শুক্রবার । ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

গেজেট ডেস্ক

বন্যা ও ভারি বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৫ জুন)  তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়েছি। সারা দেশে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ অন্যান্য এলাকায় কিছুদিন পর অনেক বৃষ্টি হবে। আমরা যদি বিলম্ব করি তাহলে সেখানে পরীক্ষা নিতে পারব না।

এর আগে, শনিবার (২২ জুন) বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ফলে আগামী ৩০ জুন থেকে সারা দেশে এ পরীক্ষা শুরু হলেও সিলেট বিভাগে তা স্থগিত থাকছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো সিলেট বিভাগেও যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। আর স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সিলেট বিভাগ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও অন্য সাধারণ ৯টি বোর্ডের পরীক্ষাসমূহ প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হবে।

সাধারণত দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আলাদা হয়। তাই সিলেট বোর্ডের প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনো ঝামেলা থাকছে না। তবে বিপত্তিতে পড়েছে মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড। সারা দেশে আলিম ও এইচএসসি (বিএম ও বিএমটি) পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র একই থাকায় ঝামেলাই পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় সিলেট বিভাগের কারিগরি ও মাদ্রাসার পরীক্ষা স্থগিত করায় এ বিভাগে কোন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা জানতে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা উদগ্রীব।

এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মামুন উল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ৪টি প্রশ্নপত্র তৈরি করি। এর মধ্যে দুই সেট ছাপানো হয়। বাকি দুই সেট সংরক্ষিত থাকে। সিলেট বিভাগের স্থগিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাকি দুই সেট থেকে নেওয়া হবে।

মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীরও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়ে একই কথা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন