বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন-এর খুলনা অঞ্চলের উপদেষ্টা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী শ্রমজীবী মানুষ। যারা বছরের পুরোটা সময় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অতি কষ্টে জীবনযাপন করে। জীবনযাত্রার অত্যধিক ব্যয়ের কারণে যাদের জীবিকা নির্বাহ করতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়। মেহনতি শ্রমিকদের জীবনে সুখ-শান্তি বলতে কোনো শব্দ নেই। বরং বেঁচে থাকার তাগিদে তারা প্রতিদিনই দুঃখ-কষ্টকে আলিঙ্গন করে। এই শ্রমিকদের ঘরে ঈদের আনন্দ ধরা দেয় না। প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শ্রমজীবী মানুষের মুক্তি অসম্ভব। তিনি বলেন, কুরবানির শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে তাকওয়া এবং ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে আত্মগঠন এবং সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। জুময়াবার (২১ জুন) সকালে স্থানীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্দ্যোগে শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহফুজুর রহমান এর পরিচালনায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম। এতে বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা সাখাওয়াত হোসেন, শহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, আল হাফিজ, আনিসুর রহমান, আব্দুল কাদের, বদরুর রশিদ মিন্টু, আসিফ ইকবাল, মালেক মুন্সী, শিহাব উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, ডা. সাইফুজ্জামান, মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, মাসুম বিল্লাহ, আব্দুল বারেক, আলী হায়দার, নুরুল হক, নজরুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম ও কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে অসৎ নেতৃত্বের কারণে আজ জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। ন্যায় বিচার আজ ভূলুণ্ঠিত। তাই সাম্য সম্প্রীতি ও ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ গড়তে, জনসাধারণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে আজিজুল ইসলাম ফারাজি বলেন, যতদিন পর্যন্ত ভুখা নাঙ্গা, অসহায়, শ্রমজীবী মানুষের মুখে হাসি না ফুটবে ততদিন মানুষ প্রকৃত ঈদের আনন্দ লাভ করতে পারবে না।
খুলনা গেজেট/এএজে