ঈদের দিনে প্রায় সব বাসাতেই একাধিক পদ রান্না করা হয়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়া বেশি হয়। ডায়েট থাকলেও মানা হয় না অনেকের। ফলাফল হিসেবে ওজন বেড়ে যায়। একটু হিসাব করলেই কিন্তু সমাধান হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে যা করবেন-
অতিরিক্ত মাংস নয়: কুরবানির ঈদে বাসায় মাংস রান্না হলেই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। রান্নার পরেও চর্বি সরিয়ে দিতে পারেন কিচেন টাওয়েলের সাহায্যে। মগজ, মাথার মাংস, মাথার হাড়, গলা, পাঁজর, মজ্জা, পায়া ও ভুঁড়ি না খাওয়াই ভালো। হাড়ের ভেতরের তেলতেলে অংশ খাবেন না। নেহারি খাবেন না।
খালি পেটে থাকবেন না: মূল খাবারের আগে লম্বা সময় খালি পেটে থাকবেন না। দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার পর পোলাও-মাংস-বিরিয়ানির মতো মুখরোচক খাবার খুব বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখা মুশকিল। কোরবানির ব্যস্ততাতেও সামান্য বিরতি নিয়ে হালকা খাবার খেয়ে নিন। স্বাস্থ্যকর নাশতা বা পানীয় তৈরি করে রাখতে পারেন, ফলও খেতে পারেন।
মিষ্টান্নে সংযম: ঈদে ডেজার্ট হিসেবে, সেমাই, লাচ্ছা, মিষ্টি, পায়েস এমনি আইসক্রিমও থাকে। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মিষ্টি খাবার কম খেতে হবে।
পানীয়ও খাওয়া যাবে না: কোমল পানীয় অনেকের কাছেই ঈদ উৎসবের এক অপরিহার্য অংশ। কিন্তু এসব পানীয় খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। চিনিযুক্ত কোনো পানীয় গ্রহণ না করাই ভালো।
সালাদ খান: ঈদে বিভিন্ন মজাদার সালাদ খেতে পারেন। টক দইয়ের ড্রেসিং আর সুস্বাদু মসলা কাজে লাগাতে পারেন। পোলাও-বিরিয়ানির সঙ্গে প্রচুর সালাদ তো খাবেনই, নাশতার পদ হিসেবেও রাখতে পারেন।
কম তেলে রান্না: তেল বা ঘি যতটা সম্ভব কম গ্রহণ করুন। অল্প তেলে রান্না সারুন। ডুবো তেলে ভাজা খাবার না খাওয়াই ভালো। রান্নায় ঘি না দিয়ে বরং রান্না নামানোর আগে সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিতে পারেন। সুঘ্রাণ পাবেন। মাখন ব্যবহার করে কোনো পদ তৈরি করবেন না।
খুলনা গেজেট/এনএম