যে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দুই ম্যাচেই চমক দেখিয়েছিল। তাদের অন্তত বিশ্বাস করা তো যায় না! ভারতও তাই বেশ সর্তক হয়েই তাদের মোকাবিলা করেছে। মাঝে মধ্যে খানিকটা ছন্দের হেরফের হলেও গন্তব্যে পৌঁছতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ১১১ রানের টার্গেট তাড়া করতে ৭ উইকেট খরচ করে তারা। আর এই জয়ে ভারতের সুপার এইটও নিশ্চিত হয়ে যায়।
এদিকে ভারত সুপার এইটে পৌঁছে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের আশা শেষ হয়ে যায়নি। রান রেটের দিকে না তাকিয়েও সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ আছে তাদের। সে ক্ষেত্রে তাদের পরবর্তী ম্যাচ জিততে হবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর তেমনটা হলে বাদ পড়বে পাকিস্তান।
বুধবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। পাওয়ার প্লেতে দলটির রান আসে ২ উইকেটে ১৮। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে যে কোন দলের পাওয়ার প্লেতে যা কিনা সর্বনিম্ন রান। এর আগে সর্বনিম্ন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, ২০১৪ বিশ্বকাপে মিরপুরে।
সেই ধাক্কা সামলে এক পর্যায়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা চালায় স্বাগতিকরা। টি২০’কে ওয়ানডে বানিয়ে চালিয়ে যায় সংগ্রাম। তবু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১০৮ রান করে। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নীতিশ। ২৪ রান আসে টেলরের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অ্যান্ডারসন ১৫ ও জোন্স ১১ রান করেন। শ্যালকউইক ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আরশদীপ সিং। বিশ্বকাপে কোনো ভারতীয় বোলারের এটি সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে অশ্বিন ১১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন। এ ছাড়া হার্দিক দুটি উইকেট আর এক উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।
খুলনা গেজেট/এইচ