বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম লেগে মেলবোর্নে সঙ্গী হয়েছিল বড় হারের বিষাদ। ফিরতি লেগে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের স্বাদ পেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এবার অবশ্য কমেছে হারের ব্যবধান। সকারুদের কাছে বাংলাদেশের হার ২-০ গোলে।
এর মধ্যে সফরকারীরা প্রথম গোল পেয়েছে আত্মঘাতী থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান কুসিনি ইয়েংগি।
এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ হার। একমাত্র পয়েন্ট পেয়েছে লেবাননের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ হার। এর আগে ২০১৫ সালে পার্থে ৫-০, ফিরতি লেগে ঢাকায় ৪-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর গত বছর নভেম্বরে মেলবোর্নে হেরেছিল ০-৭ গোলে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় এদিন জামাল ভুঁইয়াকে একাদশের বাইরে রাখেন হাভিয়ের কাবরেরা।
চোট কাটিয়ে ফেরা শেখ মোরসালিন ও তারিক কাজীর জায়গা হয় শুরু একাদশে। তিন সেন্টার ব্যাক নিয়ে শুরু করার পরিকল্পনা দারুণ কাজে দেয়। তপু, তারিকরা সকারুদের আক্রমণ ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এরপরও র্যাংকিংয়ে ১৬০ ধাপ এগিয়ে থাকা সকারুদের আক্রমণ সামলাতে ব্যতি-ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাদের। দ্বিতীয় মিনিটে প্রথম আক্রমণেই ঘটতে পারত বিপদ।
ফ্রি কিকে বক্সে বল পেয়ে গিয়েছিলেন জ্যাকসন ইরভিন। কিন্তু চারপাশে ডিফেন্ডার ঘিরে থাকায় শট নিতে পারেননি এই মিডফিল্ডার। সতীর্থের উদ্দেশে তার বাড়ানো পাস চলে যায় বাইরে।
দশম মিনিটে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে রাকিব হোসেনকে পেছন থেকে ট্যাকল করে আক্রমণ ভেস্তে দেন অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার কাইল রোলেস। অষ্টাদশ মিনিট ডান দিক থেকে আসা ক্রস ক্লিয়ার করেন চোট কাটিয়ে ফেরা ডিফেন্ডার কাজী তারিক।
২৬ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে স্লাইড করেও পা ছোঁয়াতে পারেননি দূরের পোস্টে থাকা নেস্ট্রয় ইরানকুন্ডা। তিন মিনিট পর কিছুটা দূর্ভাগ্যের শিকার হয়ে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। নেস্ট্রয় ইরানকুন্ডার ব্যাক পাস জোরালে শট নিয়েছিলেন আজদিন রুস্টিক; বল আটকাতে পা চালিয়েছিলেন মেহেদী হাসান, বল দিক পালে মিতুল মারমাকে বোকা বানিয়ে জড়ায় জালে।
অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণ সামলে সুযোগ পেলেই প্রতিক্ষের বক্সে হানা দেওয়ার চেষ্টা করেন রাকিব-মোরসালিনরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মধ্যবিরতির পর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন সোহেল রানা জুনিয়র। তার বদলি নামেন জামাল।
বাংলাদেশের ওপর চাপ অব্যাহত রেখে ৬২ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়া। জর্ডান বোসের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন কুসিনি ইয়েংগি। এরপর আর বাংলাদেশের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি সফরকারীরা। রাকিব-মোরসালিনরাও আর পেরে ওঠেনি হ্যারি সুটারদের বিপক্ষে। তাতে দুই গোলের হার সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে আগামী ১১ জুন লেবাননের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি হবে কাতারের দোহায়।
খুলনা গেজেট/এমএম