খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ পৌষ, ১৪৩১ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল এক লাখ ১ হাজার
  জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
  সচিবালয়ে আগুনের তদন্ত চলমান থাকায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে, আলামত যেন নষ্ট না হয়, ক্রাইম সীন রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত : প্রেস সচিব
  শেরপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৬

পুলিশি হেফাজতে নারীর মৃত্যু মামলা না করতে ‘হুমকি’

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগরে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় আফরোজা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মামলা না করতে মৃত নারীর পরিবারকে মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় পরিবারটি
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

মৃত আফরোজা বেগমকে ইয়াবাসহ আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ আটকের সময় তাকে মারধর করে পুলিশ।পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় গত রোববার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আফরোজা বেগমের মৃত্যু হয়। এর আগের দিন শনিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে ৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।

আফরোজা বেগম উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের আবদুল জলিল মোল্যার স্ত্রী। তিনি স্বামী সন্তান নিয়ে নওয়াপাড়া গ্রামের নর্থ বেঙ্গল রোডে আক্কাস আলীর ভাড়া করা বাড়িতে বসবাস করতেন।

আরও পড়ুন : অভয়নগরে পুলিশি হেফাজতে নারীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

আফরোজা বেগমের ছোট ছেলে নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির মোল্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের সময় তার মাকে পুলিশ মারধর করেছে। চুল ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে তার মাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যরা।

আফরোজা বেগমের বড় ছেলে ইজিবাইক চালক মুন্না মোল্যা বলেন, আমরা মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এ জন্য আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য মঙ্গলবার সকালে যশোরে গিয়েছিলাম। কথাও বলেছি। কিন্তু মামলা না করার জন্য আমাদের মোবাইলে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে বাড়ি যেতে পারছি না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তবে আমরা দু-এক দিনের মধ্যে মামলা করব। অভয়নগর থানা পুলিশের কোন সহযোগিতা আমরা পাইনি।

এ ঘটনা তদন্তে রোববার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (প্রশাসন ও অর্থ) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কয়েকজনের সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হয়েছে। ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে যার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

মামলা না করতে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, হুমকি দেওয়ার বিষয়টি প্রথম শুনলাম। তার পরিবারের কোনো সদস্য অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!