মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ডুমুরিয়া উপজেলার পল্লীতে আবারও চেতনা নাশক প্রয়োগ করে কুলটি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে গেছে। চিকিৎসাধীন গৃহকর্তার এখনও জ্ঞান ফেরেনি।
ভুক্তভোগী পরিবার, এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার কুলটি গ্রামে ৭৫ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কুলটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সমরেশ সমরেশ চন্দ্র সরকার, তার স্ত্রী উষারানী সরকার(৬৭), বড়ছেলে শিক্ষক পরাগ চন্দ্র সরকার(৪০), তার স্ত্রী সমাপ্তি সরকার(৩৫) ও পরাগের ১ম শ্রেণি পড়–য়া একমাত্র শিশু সন্তান প্রাপ্তি রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর একই বাড়িতে ঘুমায়। সারারাতের মধ্যে কেউ-কিছু টেরই পায়নি। সকাল ৭টার দিকে বাড়ির একমাত্র শিশু প্রাপ্তি ঘুম থেকে জেগে দেখে, দাদু-দিদা, বাবা-মা সব্বাই ঘুমানো, অথচ সব ঘরের দরজা ও আলমারী খোলা। তখন শিশুটি ঘর থেকে বেরিয়ে বাড়ির পাশের লোক ডাকে এবং একটা মোবাইল দিয়ে বাড়ির বাইরে থাকা তার ছোট কাকা অবনি সরকারের কাছে ফোন করে জানায়। ওই অবস্থা জানাজানি হলে গ্রামের অনেকেই এগিয়ে যেয়ে দ্রæত ওই পরিকারের ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জন অচেতন সদস্যকে খুলনার গল্লামারী একটি পরিচিত ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর বিকাল ৫টার দিকে ৩ জনের জ্ঞান ফিরলেও সমরেশ বাবুর জ্ঞান ফেরেনি। এ ঘটনায় সমগ্র গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে সমরেশ বাবুর ছেলে অবনি সরকার তার ভাইজি’র বর্ণণা তুলে ধরে বলেন, বাবা-মা সুস্থ হলেই ক্ষয়-ক্ষতির সঠিক পরিমান বলতে পারবেন। তবে এ পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি, তাতে ৮-৯ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা তারা নিয়ে গেছে।
এখানে উল্লেখ্য গত শনিবার গভীর রাতে ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের বারুইকাটি গ্রামে একটি পরিবারের সদস্যদের চেতনানাশক প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে আলমারী ভেঙে নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, এ ঘটনায় আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কেএমপি’র সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
খুলনা গেজেট/কেডি