যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের সিনেটর রিক স্কট ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর ওই পোস্ট দেওয়ার সময় রাইসির নিহত হওয়ার খবর জানায়নি ইরান। সে সময় পর্যন্ত বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের খোঁজ চলছিল।
ওই পোস্টে রিপাবলিকান সিনেটর রিক বলেন, ‘রাইসি যদি মারা গিয়ে থাকেন, তবে বলতে হবে, বিশ্ব এখন আগের চেয়ে নিরাপদ এবং ভালো জায়গা হয়ে উঠেছে। ওই মন্দ লোকটি অত্যাচারী ও সন্ত্রাসী ছিলেন। তাঁকে (রাইসি) কেউ ভালোবাসত না, সম্মান করত না। কেউ তাঁর শূন্যতা অনুভব করবে না।’
রিক আরও লিখেছেন, ‘তিনি যদি মারা গিয়ে থাকেন, তবে আমি সত্যিই আশা করি যে ইরানি জনগণ খুনি স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে নিজেদের দেশকে পুনরুদ্ধার করতে পারবে।’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারপারসন মাইকেল ওয়াটজও মনে করেন রাইসির মৃত্যু হয়ে থাকলে ‘পরিত্রাণ’ হয়েছে। সে সময় পর্যন্ত রাইসি নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় এবং আগে রাইসিকে মারাত্মকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে।’
গতকাল রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। পাহাড়ি এলাকায় বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধার অভিযান চালানোর পরে আজ সকালে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট দল বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি খুঁজে পায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরানের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের সব আরোহী নিহত হয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম