দীর্ঘ দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খুলনা অঞ্চলে ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। কাঠফাটা রোদে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কে বের হওয়া কর্মজীবীরা। সীমাহীন কষ্ট উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ।
প্রতিদিন সকাল থেকেই সূর্যের চোখ রাঙানিতে নাজেহাল খুলনার জনজীবন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে তাপের তীব্রতা। দীর্ঘ দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ছোট-বড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। একই চিত্র চুয়াডাঙ্গা, যশোর, সাতক্ষীরাসহ বিভাগের অধিকাংশ জেলায়। বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিভাগের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া যশোরে ৪১ ডিগ্রি , মাগুরা ৩৮.৬ডিগ্রি ও খুলনায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। যারা বের হচ্ছন, তারা ছাতা ব্যবহার করছেন। শ্রমজীবীরা গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে গরম নিবারণের চেষ্টা করছেন।
আর তীব্র গরমে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও মাথা ব্যথা রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা। খুলনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ১ হাজার ৩৯৯জন রোগী। খালি নেই শিশু হাসপাতালের কোন শয্যা।
এদিকে খুলনার বিভাগের পাশের এলাকায় বৃষ্টির দেখা মেলায় তাপের তীব্রতা কমতে শুরু করেছে বলছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী ৫ ও ৬ মে নামতে পারে স্বস্তির বৃষ্টি।
খুলনা আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, আজকে থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। আকাশে মেঘ রয়েছে। আগামী ৫, ৬ ও ৭ মে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে