জলবায়ূ পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও কৃষিতে পানি সংকট নিরসনে কৃত্রিম বৃষ্টি ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে বাংলাদেশী বিজ্ঞানীরা। এতে উপকূলীয় এলাকায় পতিত জমির পরিমান যেমন কমবে। তেমনি সবুজায়ন সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর এ তথ্য জানান।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) কৃষি কর্মকর্তারা খুলনার ডুমুরিয়া ও দিঘলিয়ায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ব্রি ৭৪, ব্রি ৮৯, ব্রি ৯২, ব্রি ৯৯, ব্রি ১০০ ও ব্রি ১০৪, ব্রি হাইব্রিড ৩ ও ৮ ধানের মাঠ দিবসে অংশ নেন। এ দুটি উপজেলায় এবার প্রথম এসব জাতের ধান চাষ হয়েছে।
ড. মো: শাহজাহান কবীর আরো বলেন, জলবায়ূ পরিবর্তনে লবণাক্ততা মোকাবেলা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এ জন্য আমরা নদী-খালের পানি প্রবাহ সরাবরাহে গুরুত্ব দিচ্ছি। নদী-খাল খনন, বড় বড় পুকুরে বর্ষাকালের পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পদার্পণে কাজ করছি ও আমাদের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। আর্টিফিশিয়াল রেইনের বিষয়টি গবেষণা চলছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, উপকূলীয় এলাকায় পানি ও লবণাক্তারা কারণে ফসল হয় না। সেটি দুর করা অসম্ভব নয়। সেচ নিশ্চিত করতে নদী খাল খনন ও পতিত জমি ধান চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। কৃষকদের অধিক ফসল উৎপাদনে সহয়তা ও নতুন জাত উদ্ভাবন করে প্রর্দশনী খামার করা হয়েছে। এ থেকে তারা নিজেদের ইচ্ছেমত জাত বেছে নিতে পারবেন। গত ৩-৪ বছর বাংলাদেশ ধান আমদানি করেনি। নিজেদের উৎপাদিত ধানেই চাহিদা মিটছে।
মাঠ দিবস ও পরিদর্শনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ, ব্রি জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয় লাল চন্দ্র পাল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি