খুলনায় বিপুল পরিমান নকল ওষুধ, ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকালে নগরীর দৌলতপুর সাহাপাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার ওই মাসুদ সরদার নামে এক কর্মচারীকে দেড় বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, ওষুধ প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম।
খুলনার ড্রাগ সুপার নবী নেওয়াজ নিলয় বলেন, এমন পরিবেশে ওষুধ তৈরিক কোন অনুমোদন নেই। অবৈধভাবে এই নকল ওষুধ তৈরি করছেন তারা। ওই নকল ওষুধ ব্যবহারের ফলে রোগী তার কাঙ্খিত ফল পাবে না। এই ওষুধ সেবনে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এখানে একটি চক্র কাজ করছে। আমরা সেই চক্র শনাক্তের চেষ্টা করছি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযানে বিপুল পরিমাণে নকল ওষুধ, ওষুধের কাঁচামাল, ফয়েল পেপার, ওষুধের ব্যবহার বিধি নির্দেশনাপত্র, প্যাকেজিং ম্যাটারিয়াল, ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম-যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় প্রায় ৮০ কেজি বস্তাবন্দী নকল ওষুধ, বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৫০০ প্যাকেট ওষুধ জব্দ করা হয়। তারা মোনাস টেন, অ্যান্টিবায়োটিকসহ ২০-২৫ প্রকার নকল ওষুধ অবৈধভাবে তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, অভিযানে সেখানে মাসুদ সরকার নামে এক কর্মচারীকে আমরা পেয়েছি। তার কাজ হচ্ছে নকল ওষুধ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। তবে মালিকসহ চক্রটির অন্যান্য সদস্যদের আমরা পায়নি। আমরা এই চক্রটিকে শনাক্তের চেষ্টা করবো।