খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে র্যাব-০৬। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা থেকে ডুৃমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়নের মিকশিমিল গ্রাম থেকে অভিযান শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালানো হয়। যা এখনও চলছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বুধবার ধর্ষণের ঘটনায় ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ওই তরুণীর মামাতো ভাই গোলাম রসুল সরদার। আদালত মামলাটি গ্রহণের জন্য ডুমুরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।
আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, বুধবার আদালতে মামলার এজাহার জমা দেওয়ার সময় আদালত ভুক্তভোগীর অবস্থান জানতে চান। তখন আইনজীবী জানান, তরুণীকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাতেই বিষয়টি র্যাবকে জানানো হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ওই তরুণীকে ফের অপহরণের গুঞ্জন শুরু হয়। তখনই অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় র্যাব।
তবে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে দাবি করেছে। ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত কুমার সাহা বলেন, পুরো বিষয়টি আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। আদালতের কোনো নির্দেশ এখনও হাতে পাইনি। তরুণী অপহরণ বা ধর্ষণের কোনো অভিযোগ নিয়ে কেউ কখনও থানায় আসেনি। ওই তরুণী বা তার পরিবার কখনো কোনো অভিযোগ দেননি। এজন্য তরুণী বন্দি কিনা তাও আমরা জানি না।
খুলনা গেজেট/হিমালয়