খুলনায় কেসিসি নিয়ন্ত্রণাধীন কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদ্যুৎ ভট্টকে শোকজ করা হয়। তাকে ৫ দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে নানামুখী চাপে মঙ্গলবার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ওই ছাত্রীর অভিভাবক। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে অন্য অভিভাবকরা আরও ক্ষুদ্ধ ও আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বাথরুমে গেলে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। অন্য ক্লাসের দুই ছাত্রী বিষয়টি দেখে এগিয়ে গেলে শিক্ষক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তারা অভিভাবক ও অন্য শিক্ষার্থীদের জানায়।
খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর বিষয়টি জানানোর পর আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সেই অনুযায়ী ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। তিনি ৫ দিনের ছুটিতে রয়েছেন।
অধ্যক্ষ জানান, মঙ্গলবার স্কুলে এসে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। তারপরও তদন্ত কার্যক্রম চলবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের এক প্রতিবেশি জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা ছাত্রীর বাড়ি গিয়েছিলেন। তারা পরিবারটির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বিভিন্ন দিক ভেবে অভিযোগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ছুটিতে থাকায় অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদ্যুৎ ভট্টকে বিদ্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ।
খুলনা গেজেট/টিএ