ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, সকলের প্রচেষ্টায় ভূমিসেবাকে স্মার্টসেবায় রূপান্তর করতে চাই। স্মার্ট ভূমিসেবায় অনিয়ম, হয়রানি ও কোন দুর্নীতি থাকবে না। আমাদের লক্ষ্য একটাই টেকসই ও স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিসহ সকল সেক্টরে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন।
তিনি আজ (বুধবার) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কর্মসূচি Automated Land Administration & Management System (ALAMS) এর আওতায় ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন ‘১৮০ দিনের স্মার্ট কৌশল’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ নাগরিকের ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু ভূমি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেছিলেন। তিনি বলেন, দেশের মালিক জনগণ, এই জনগণের কল্যাণে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। সকল ক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সকল তহশিল অফিস জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে এবং কোন দালাল থাকবে না। নয়মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে পেরেছি, কেন আমরা ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন করতে পারবো না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান ও খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ ফিরোজ শাহ। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। কর্মশালায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মার্ট কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ এবং খুলনা বিভাগে স্মার্টসেবা বাস্তবায়নে অন্তরায় ও সমাধান কৌশল বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সেলিম আহমদ। ভূমি মন্ত্রণালয় ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), বিভাগের সকল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তারা অংশ নেন।
খুলনা গেজেট/এনএম