খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ কার্তিক, ১৪৩১ | ৩১ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৫৪
  দ্রুতই সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় স্থায়ীভাবে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

রূপসার ঘাটভোগের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংবাদ সম্মেলন

রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুস আলী শিকদারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ভাইয়ের ছেলেরা অসত্য অভিযোগ দিচ্ছে। যা আদৌ সত্য নয়।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি  তার ভাতিজা আকতার শিকদার তার বিরুদ্ধে অসত্য ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। তার বড় ভাইয়ের দুই ছেলে কামরুল ও আকতার। বড় ছেলে যুবদলের সদস্য। সে এলাকায় বিভিন্ন নাশকতার সাথে জড়িত। আকতার শিকদার নিজেও  নাশকতা মামলায় জেল খেটেছেন। আকতার শিকদারের পিতা তাঁর বড় ভাইয়ের সাথে আমার সুসম্পর্ক থাকায় আমি জমি কেনার জন্য বড় ভাইয়ের নিকট টাকা দিলে আমার বড় ভাই আমার টাকা নিয়ে তিনি নিজের নামে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করেছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইটভাটা পরিচালনার জন্য ইট প্রস্তুতের মাটি খরিদ করতে গৌরাঙ্গ নামে এক ব্যক্তির সাথে তার চুক্তি হয়। তখন আক্তার শিকদার আমার বড় ভাই ইউসুফ শিকদারকে হাতে নিয়ে আকতার শিকদার ও আমার বড় ভাই আমার নিকট হতে স্কেবেটর ক্রয়ের জন্য ৩০ লাখ টাকা ঋণ নেয়। ঋণের টাকা পরবর্তীতে আমার ব্যাংক একাউন্টে জমা দিবে এ শর্তে তিনি টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু শর্ত থাকলেও তিনি এ ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি।  উল্টো মাটি দেয়ার জন্য ইটভাটার প্যাডের উপর স্বাক্ষর করে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এ পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্সের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে পরিবেশের লাইসেন্স সংক্রান্ত যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। পরিবেশের লাইসেন্সের বিষয়ে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম নীতি মেনেই এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে।

আকতার শিকদারের দুই একর জমি ইট ভাটার মধ্যে রয়েছে এমন বক্তব্যও সঠিক নয়। সর্বোপরি খুলনা জেলার সকল ইটভাটা একই নিয়মে চলছে।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সরকারি জমি, রাস্তা দখলের বিষয়টি আদৌও সঠিক নয়। আমার টাকায় কেনা জমি যা আমার বড় ভাই নিজ নামে দলিল করেছিলেন। এ জমির মধ্যে কয়েক দাগে ৫০ শতক জমি ইটভাটায় থাকলেও আমার কাছ থেকে আমার আমার বড় ভাই অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছিলেন যা আকতার শিকদার অস্বীকার করে অন্যভাবে দাবি করেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!