দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা খাদ্য গুদামের অভ্যন্তরে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার বা স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বিশাল আকৃতির ক্রেনটি পার্শ্ববর্তী বসতি এলাকায় উপড়ে পড়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর আনুমানিক ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ক্রেন পড়ার বিকট শব্দে ঘুমিয়ে থাকা লোকজন এবং শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ক্রেনটি বেজ থেকে উপরে পড়ে নির্মাণাধীন সাইলোর দক্ষিণ দিকে বসতি এলাকার একটি সিরিজ গাছের উপর গিয়ে পড়ে।
নির্মাণাধীন স্টিল সাইলোর ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার এইচএম আল ইমরান খুলনা গেজেটকে বলেন, স্টিল সাইলোটি নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত ক্রেনটি চায়নার তৈরি। এটি ১০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ক্রেনটি লম্বায় ৬০ মিটার। এবং এটির উচ্চতা ৫৬ মিটার। গত ৭ মাস ধরে ক্রেনটি মহেশ্বরপাশা খাদ্য গুদামের অভ্যন্তরে আধুনিক খাদ্য ও সংরক্ষণাগার বা স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ক্রেনটিতে কোন ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়নি। ক্রেনটি চায়না থেকে নতুন এনে প্রথমে রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে ব্যবহৃত হয়। এরপর আমাদের এ প্রজেক্টে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫ টার দিকে বিশাল আকৃতির ক্রেনটি হঠাৎ করে নির্মাণাধীন সাইলোর দক্ষিণ দিকে বসতি এলাকায় সিরিজ গাছের উপর বেজ থেকে উপরে পড়ে। এ সময় বিকট শব্দে ঘুমিয়ে থাকা লোকজন এবং শিশুদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ক্রেনটির বুমের শেষাংশ যেয়ে পড়ে পুকুরের ভেতর।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছে, ক্রেনের বুমে ইলেকট্রিক সংযোগ থাকায় পুকুরের মাছ ছটফট করতে থাকে। নদীর পার্শ্ববর্তী হওয়ায় ভাইব্রেডের কারণে ক্রেনটি বেজ থেকে উপড়ে পড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। ১০ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বিশাল আকৃতির এ ক্রেনটির নির্মাণ বেজ দুর্বল থাকার কারণে ক্রেনটি বেজ থেকে উপরে পড়তে পারে বলেও অনেকে ধারণা করছেন। হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্রেনটি উদ্ধারের প্রাথমিক তৎপরতা শুরু করেছে।
৩৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম