গেল বছরের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে ১-১ সিরিজ ড্র করেছিল টাইগাররা, যদিও ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল ১-২ ব্যবধানে। তবে সেই সিরিজে টাইগার পেসাররা দারুণ বোলিং করেছিল যা মন কেড়েছে কিউই অলারাউন্ডার জিমি নিশামের।
বিপিএল খেলতে এসে গতকাল চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিশাম বলেন, ‘আসলে আমার মনে হয় (বাংলাদেশের বিপক্ষে) নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজটায় আমরা অনেক ভাগ্যবান ছিলাম যে আমরা পার পেয়ে গিয়েছিলাম। শেষ ম্যাচে একটু এদিকসেদিক হলেই আমরা সিরিজটা হারতে পারতাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গত কয়েক বছরে বেশ শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে পেস বোলিং বিভাগে। আমরা অনেকটা বুলি করতাম বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আমাদের কন্ডিশনে। সেখানে অনেক বাউন্স, গতি থাকত। গত কয়েকটি সফরে (তারা এখানে ভালো করেছে)।’
টাইগার পেসার শরিফুলের কথা বেশ জোরেশোরে বললেন নিশাম, ‘শরিফুলের মত পেসার উঠে এসেছে যে ভালো সুইং করাতে পারে এবং বাউন্সও পায় বেশ ভালো। নিউজিল্যান্ডে দারুণ একটি সফর কাটিয়েছে তারা, খুশিই হবে হয়ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। সহজেই জিতে যাব ভেবে বসে থাকা যাবে না। তারা দারুণ চ্যালেঞ্জিং একটি দল হবে বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে।’
এছাড়া আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে নিশাম বলেন, ‘আসলে আমি জানি না বাংলাদেশ কোথায় থাকবে। আমরা বেশিরভাগ সময়টা গায়ানায় থাকব যেখানে অনেক স্পিন সহায়ক কন্ডিশন। খুব বেশি ব্যাটিং কিংবা পেস বোলিং সহায়ক নয়। ফলে আমরা সেখানে নিজেদের মত পরিকল্পনা করে আসব। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা গত কয়েক বছরে সিপিএল খেলেছে। বেশ কিছু ক্রিকেটার আছে যারা সেসব কন্ডিশনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। ফলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ধারণা নিয়ে রাখতে হবে।’
বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে জানান, ‘আমার মনে হয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও বিশ্বের নানা প্রান্তে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে বেড়ায় আমাদের মতই। ফলে এখানে কোনো অজুহাতের কিছু নেই। ফলে তাদেরও কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা আছে। এখানে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’
খুলনা গেজেট/এনএম