ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অনেকদিন শান্ত থাকার পর আবার ব্যাট হাতে বাইশ গজে ঝড় তুলেন অজি এই হার্ডহিটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ২৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় অজিরা। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানরা তুলেছে ২০৭ রান। এতে ৩৪ রানে জিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
রোববার অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার জশ ইংলিসকে(৪) ফেরান জেসন হোল্ডার। ওয়ান ডাউনে নেমে এসেই মারতে থাকেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ১২ বলে ২৯ রান করে ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি গড়েন ৪৩ রানের। ষষ্ঠ ওভারে মার্শ ফেরার পরের ওভারেই বিদায় নেন ১৯ বলে ২২ রান করা ওয়ার্নার।
ইনিংসের বাকি অংশটা খেলেছেন শুধু ম্যাক্সওয়েল। ৫০ বল খেলে ৯ চার ও ৭ ছয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি করেন তিনি। এতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ১২ চার ও ৮ ছয়ে ১২০ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। চতুর্থ উইকেটে মার্কাস স্টয়নিসকে নিয়ে যোগ করেন ৪২ বলে ৮২ রান। ১৫ বলে ১৬ রান করা স্টয়নিস ফেরার পর টিম ডেভিডের (৩১*) সঙ্গে গড়েন ৯৫ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় অজিরা। ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে জেসন হোল্ডার নেন ২টি উইকেট।
২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট হারায় তারা। দলীয় ৬৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। রোভম্যান পাওয়েল ও আন্দ্রে রাসেল মিলে বিপর্যয় সামাল দেন। রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১১০ রানে ১৬ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রাসেল।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতক পূরণ করেন পাওয়েল। কিন্তু দলীয় ১৭৬ রানে ৩৬ বলে ৬৩ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। শেষ দিকে হোল্ডারের ১৬ বলে অপরাজিত ২৮ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মার্কাস স্টোনিয়াস নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট।
খুলনা গেজেট/এমএম