খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান একজন কঠোর নিবেদিত প্রাণ ত্যাগী নেতা ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জীবনকে বাজি রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যে কয়জন নেতা খুলনায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সুসংগঠিত করেছিলো লুৎফর রহমান ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়েও দলের দুঃসময়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। দলকে সময় দিতে গিয়ে তিনি ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তবুও তিনি দলের জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছেন, জেল খেটেছেন। লুৎফর রহমানের মতো তেজদ্বীপ্ত ত্যাগী নেতাদের কারণে আওয়ামী লীগ আজ প্রতিষ্ঠিত। মরহুমা লুৎফর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সিটি মেয়র বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে তার মতো ত্যাগী ও আদর্শিক নেতাকে অনুসরণ করে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণ সভায় আরো বক্তৃতা করেন মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। মহানগর আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ আবিদ হোসেন, তসলিম আহমেদ আশা, মনিরুল ইসলাম বাশার, এস এম আনিছুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, চ ম মজিবুর রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, কাজী জাকারিয়া রিপন, সরদার আব্দুল হালিম, মো. শিহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতারেব হোসেন মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, মোঃ সফিকুর রহমান পলাশ, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মীর বরকত আলী, জেসমিন সুলতানা শম্পা, নুর জাহান রুমি, আফরোজা জেসমিন বিথী, ফেরদৌস আলম রিতা, রোকেয়া রহমান, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, অধ্যা. সুরাইয়া পারভিন, হাবিবুর রহমান দুলাল, মো. সেলিম হোসেন, মল্লিক নওশের আলী, কবির পাঠান, মো. শহীদুল হাসান, মো. আজিম উদ্দিন, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের সন্তান মামুন আরেফিন, শংকর কুন্ডুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণ সভা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মোঃ আব্দুর রহীম।
খুলনা গেজেট/কেডি