হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় বৃদ্ধির সময়ও শেষ হবে আগামীকাল ১৮ জানুয়ারি। অথচ গতকাল ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি মাধ্যমের কোটায় তিন হাজার ৫৩৬ জন ও বেসরকারি কোটায় ৩৭ হাজার ৫০ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। ফলে দ্বিতীয় দফায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধির পরও প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কোটা পূরণ হচ্ছে না।
হজের কোটা পূরণ না হওয়ায় সব মোবাইল অপারেটিং কম্পানিকে বিনা মূল্যে এসংক্রান্ত খুদে বার্তা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, সর্বশেষ সময় ১৮ জানুয়ারি ২০২৪-এর মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করে হজে গমন নিশ্চিত করুন।
জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয় এবং সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগ্রহী হজযাত্রীরা শুরুতে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন এবং প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে প্রাথমিক নিবন্ধন করার পর ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারিভাবে এ বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা, যা ২০২৩ সালের সাধারণ হজ প্যাকেজের চেয়ে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কম। আর দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে আট লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।