ব্যাংক কর্তপক্ষের অবহেলার কারণে বিল জমা দেয়ার এক সপ্তাহ পার হলেও বেতন ভাতা তুলতে পারেননি ডুমুরিয়ার শিক্ষক-কর্মচারিরা। এতে নানা সংকট ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারিদের সালের ২০২৩ ডিসেম্বর মাসের এমপিওর চেক ছাড়া হয়। গত ৮ জানুয়ারির পর বেতন ভাতার সরকারি অংশের টাকা তুলতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার অধিকাংশ স্কুল কলেজ ও মাদরাসার বেতন ভাতা রূপালি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে হয়। কিন্তু নিদিষ্ট সময়ে তারা টাকা প্রদানে অবহেলার পরিচয় দেন বলে রয়েছে অভিযোগ।
ডুমুরিয়ার আন্দুলিয়া কাদেরিয়া দখিল মাদরাসার বিল জমা হয়েছে সোমবার (৮ জানুয়ারি) অথচ এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও শিক্ষক কর্মচারিদের একাউন্টে টাকা জমা হয়নি। মাদরাসার সহকারী শিক্ষক শিবেন্দু মন্ডল বলেন, গত ৮ জানুয়ারি ব্যাংকে বিল জমা দিলেও এ পর্যন্ত একাউন্টে টাকা পোষ্টিং দেননি। নিদিষ্ট সময়ে টাকা তুলতে না পারায় শিক্ষক কর্মচারীদের পড়তে হচ্ছে নানা সংকটে।
থুকড়া ইসলামীয়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল হান্নান বলেন, রূপালী ব্যাংক সদন শাখা থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা তুলতে হয়। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দারূণভাবে অবহেলার পরিচয় দেন। এতে শিক্ষক কর্মচারীদের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।
রানাই মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মোস্তফা কামাল বলেন, সোনালী ব্যাংক থেকে আমরা নিদিষ্ট সময়েই বেতন ভাতা উত্তোলন করি। তারা নিদিষ্ট সময়েই টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
রূপালী ব্যাংক লিমিটেড সদন শাখা খুলনার সেকেন্ড অফিসার আদিত্য কুমার মন্ডল বলেন, ম্যানেজার সাহেব ঢাকায় রয়েছেন। শিক্ষকদের একাউন্টে টাকা জমা হয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের একাউন্টে জমা হতে বাকি আছে। আশা করছি বাকি গুলো জমা হয়ে যাবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ