শপথ নিতে প্রায় সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ইতিমধ্যে বঙ্গভবনের দরবার হলে এসে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় শপথ নেবেন তারা।
এদিন বিকেল ৪টার পর থেকে বঙ্গভবনে আসতে শুরু করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। বঙ্গভবনের দরবার হলে আছেন দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরাও।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন। এ শপথের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে গড়তে যাচ্ছেন ইতিহাস।
নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেবেন। নতুন সরকার গঠনে ইতোমধ্যে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। এর মধ্যে ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী। আর ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।
বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানান, সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। এ উপলক্ষে এক হাজারেরও বেশি অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে বঙ্গভবন।
দুপুরে নতুন সরকারের ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ২ দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দেন।
পূর্ণ মন্ত্রীরা হলেন, আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, সাধন চন্দ্র মজুমদার, আবদুস সালাম, মো. ফরিদুল হক খান, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আবদুর রহমান, মো. আব্দুস শহীদ, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সামন্ত লাল সেন, মো. জিল্লুল হাকিম, ফরহাদ হোসেন, নাজমুল হাসান, সাবের হোসেন চৌধুরী ও মহিবুল হাসান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রীরা হলেন, নসরুল হামিদ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জুনাইদ আহমেদ পলক, জাহিদ ফারুক, সিমিন হোসেন (রিমি), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মো. মহিববুর রহমান, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শফিকুর রহমান চৌধুরী, বেগম রুমানা আলী ও আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে নতুন মন্ত্রিসভায়। স্থান পাননি বিদায়ী মন্ত্রিসভার অনেকেই। আর প্রথমবারের মতো যুক্ত হলেন ১৪ জন।