শীতের সময়ে গোসলের প্রতি এক ধরনের অলসতা চলে আসে। কোনোভাবে দুপুরটা পার করতে পারলেই সেদিন আর গোসল করেন না অনেকে। ঠান্ডার ভয়ে পানির ধারে-কাছে ঘেঁষতে ইচ্ছে না হলেও পরিচ্ছন্নতা ও সুস্থতার জন্য নিয়মিত গোসল করা জরুরি। ঠান্ডা পানিতে সমস্যা হলে হালকা গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস করুন। আরেকটু বেশি উপকার পেতে চাইলে সেই পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন সামান্য লবণ। এতে অনেক উপকার পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. মন ভালো করে
হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গোসল করলে মন ভালো হয়ে যাবে নিমিষেই। এটি বিষণ্ণতা দূর করে আপনাকে চনমনে করবে। শীতকালে বেশিরভাগ মানুষই ঘন ঘন মেজাজ খারাপ হতে থাকে। এর নেপথ্যে কিছু কারণও রয়েছে। আপনারও এমন মন খারাপ হলে গোসলের পানিতে অল্প লবণ মিশিয়ে নিন। এতে দ্রুতই মন ভালো হবে।
২. গাঁটের ব্যথা দূর করে
শীতের সময়ে অনেকেই গাঁটের ব্যথায় ভোগেন। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে অনেকটা আরাম পাবেন। সেইসঙ্গে গোসলের পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে সামান্য লবণ। এই পানি দিয়ে গোসল করলে গাঁটের ব্যথা কমবে অনেকটাই।
৩. ত্বক ভালো রাখে
শীতের প্রভাব সবার আগে পড়ে আমাদের ত্বকে। এসময় আমাদের ত্বক দ্রুত শুষ্ক ও রুক্ষ হতে থাকে। যে কারণে শীতের দিনে ত্বককে রক্ষা করার জন্য আমরা নানা ধরনের ক্রিম ব্যবহার করি। আবার ত্বকের আর্দ্রতা ভেতর থেকে ধরে রাখে এমন সব খাবারও খাই। এগুলো সবই ঠিক আছে। কিন্তু হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশে নিলেই ত্বক থাকবে সুস্থ ও সুন্দর। শীতে এই অভ্যাস শুরু করলে ফলাফল নিজেই বুঝতে পারবেন।
৪. ত্বক পুষ্ট করে
আমাদের ত্বকের উপরে একটি প্রাকৃতিক আবরণ থাকে। এই আবরণকে রক্ষা করতে কাজ করে নোনা পানি। লবণের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু খনিজ পদার্থ। ত্বকের জন্য সেসব খনিজ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই গোসলের পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। এতে ত্বক পুষ্টও হবে।
৫. সামুদ্রিক লবণ ব্যবহার
গোসলের পানিতে সাধারণ সাদা লবণ মেশালে হবে না। এই লবণের বদলে ব্যবহার করতে হবে সামুদ্রিক লবণ। এতে খনিজের পরিমাণও অনেকটাই বেশি। যে কারণ সুফল পাবেন দ্রুতই।
খুলনা গেজেট/এনএম