করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের বিমানে উঠেছিলেন বিসিবির হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াডের কোচ টবি র্যাডফোর্ড। বাংলাদেশে পৌঁছে আরও একদফা করোনা পরীক্ষা করান ইংলিশ কোচ। সেই পরীক্ষার ফলও নেগেটিভ আসায় বিশেষ ব্যবস্থায় কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি পেয়েছেন তিনি।
দেশের বাইরে থেকে যে কেউ এলে তার জন্য ১৪ দিনের আইসোলেশন বাধ্যতামূলক। কিন্তু করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসায় সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিশেষ ছাড়পত্র নিয়েছে বিসিবি। জাতীয় দলের বিদেশি কোচদের জন্যও তারা একই ছাড়পত্র নিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে। নিয়মিত করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি জৈব সুরক্ষা বলয়ে রয়েছেন রাসেল ডমিঙ্গো, ওটিস গিবসন, রায়ান কুকরা। র্যাডফোর্ডের জন্যও একই ব্যবস্থা করেছে বিসিবি।
শনিবার নাজমুল একাদশের দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন র্যাডফোর্ড। রবিবার এইচপির ক্রিকেটারদের নিয়ে একাডেমিতে অনুশীলন করিয়েছেন। চলমান বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ শেষ হলে এইচপির মূল ক্যাম্প শুরু হবে। জাতীয় দলের সঙ্গে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে খেলছেন এইচপির ক্রিকেটাররা। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ সিরিজ দিয়ে শিষ্যদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হয়ে যাবে র্যাডফোর্ডের। এরপর চলবে তাদের ঘষামাজার কাজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ব্যাটিং ও সহকারী কোচ টবি র্যাডফোর্ডকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কোচিং লেভেল-৪ শেষ করা এই কোচ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন মিডলসেক্স ও সাসেক্সের হয়ে। দুই মেয়াদে (২০১২-১৩ ও ২০১৬-২০১৯) ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং ও সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া গ্ল্যামরগান ও মিডলসেক্সের প্রধান কোচ ছিলেন তিনি।
ইসিবি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পরামর্শকও ছিলেন র্যাডফোর্ড। এ সময়ে বিভিন্ন যুব দল নিয়ে কাজ করেছেন। ৪৮ বছর বয়সী এ কোচ প্রথমবারের মতো এশিয়ার কোনও দেশের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন।
নিয়োগ পাওয়ার পরপরই র্যাডফোর্ড বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে দারুণ কিছু উঠতি প্রতিভা আছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের ভালো করার জন্য সঠিকভাবে গড়ে তোলার কাজটাই আমি করতে চাই। আমাকে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি বিসিবির কাছে কৃতজ্ঞ।’
খুলনা গেজেট/এএমআর