উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। এটি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মোংলা-পায়রা দিয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে দ্বিতীয় সবোর্চ্চ সতর্কবস্থা অ্যালার্ট ৩ জারি করা হয়েছে। এরপর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বন্দরে পণ্যভর্তি কনটেইনার ও যন্ত্রপাতি সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বরে বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।
এদিকে মিধিলি’র প্রভাবে মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় অঞ্চলে শুক্রবার সকাল থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে এবং প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পৌর শহরসহ উপকূলীয় এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে শহরের প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটও ফাঁকা হয়ে পড়ে রয়েছে। দুপুর ১২টার পর বাতাসেরও তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী হারবার মাস্টার (অপারেশন) আমিনুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অফিস ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করার পর বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি জাহাজগুলোকে কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি