পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাতের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মিধিলি’।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আজ রাতের মধ্যেই গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া এসব এলাকায় ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৮ মিলিমিটারের চেয়ে বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।’
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘এখন যে গতিতে গভীর নিম্নচাপটি এগিয়ে আসছে, তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে এটি বাংলাদেশর উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এই গতি পরিবর্তন হতে পারে।’
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হবে না বলে মত দেন এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি আরও বলেন, ‘কাল ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়ে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে থাকবে।’
গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। তবে এটি দমকা হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ভেঙে পড়ে বসত-বাড়ি, গাছপালা। নষ্ট হয় ফসল।
গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্র ও আশে পাশে সাগর উত্তার থাকায় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
খুলনা গেজেট/ টিএ