গ্যাস-অম্বল অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী। সকাল শুরু হয় বুকজ্বালা, পেটের মধ্যে মোচড়, ঢেঁকুর। সেই রেশ দিনভর থাকে। গ্যাসের ওষুধ খেয়ে তার পর মেলে স্বস্তি। বাইরের খাবারের প্রতি টান থাকলে মাঝে-মাঝেই এমন হবে, সেটা অস্বাভাবিক নয়।
অনেকেই গ্যাস-অম্বল থেকে বাঁচতে তেল-মসলাদার খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করেন। অথচ গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে পারে কয়েকটি মসলা। এমনই কয়েকটি সুপরিচিত মসলার গুণের কথা জানিয়েছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম।
জিরা : আমিষ কিংবা নিরামিষ, রান্নায় জিরা ফোড়ন না দিলে স্বাদ হয় না। তবে জিরা গ্যাস-অম্বল থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। জিরাতে রয়েছে এক ধরনের বিশেষ তেল। যা গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমায়।
গোলমরিচ : সর্দি-কাশি ছাড়াও গোলমরিচে থাকা নানা স্বাস্থ্যকর উপাদান হজমশক্তি উন্নত করে। হজম ভালো হলে গ্যাস হওয়ার ভয়ও অনেক কম থাকে। রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও গোলমরিচ এমনিও খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
দারুচিনি : পেট ভালো রাখতে দারুচিনির জুড়ি মেলা ভার। পেটের খেয়াল রাখতে তাই নিয়মিত দারুচিনি খেতে পারেন। অনেক সময় গ্যাস হলে বমি বমি পায়। সেই সমস্যাও দারুচিনির গুণে দূরে চলে যায়।
এলাচ : পায়েসে দিলে স্বাদ এবং গন্ধ দুই-ই বেড়ে যায়। এলাচ কিন্তু গ্যাস-অম্বলও কমাতে দারুণ উপকারী। অম্বল হলেই একটা এলাচ যদি মুখে পুরে দিতে পারেন, তা হলে আর ওষুধ খাওয়ার দরকার পড়বে না। নিয়ম করে না হলেও, মাঝে-মধ্যে যদি এলাচ খান তাহলে পেটের সমস্যা নিয়ে ভুগতে হবে না।
আদা : অন্যান্য আনাজপাতির চেয়ে আদা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আদার জুড়ি মেলা ভার। গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমাতেও আদা উপকারী হতে পারে। আদায় রয়েছে ফাইটো কেমিক্যালস, এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধি পেতে দেয় না। দাঁতের জন্যেও ভালো আদা।
খুলনা গেজেট/এনএম