বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ‘নিশ্চয়তা’ দিয়েছিলেন পারিশ্রমিক ৪০ শতাংশ করে দেওয়ার। সেটা হয়নি। তবে আগের সিদ্ধান্তের চেয়ে নতুন মৌসুমে বেশি পারিশ্রমিক পাবেন রানা-মামুনুলরা। আগের সিদ্ধান্ত ছিল ২৫ শতাংশের, নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ পাবেন ফুটবলাররা।
পেশাদার লিগ কমিটির বৃহস্পতিবারের সভায় আরও অনেক বিষয়ের সঙ্গে ২০২০-২১ মৌসুমে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়। ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী জানান, পরিস্থিতির বিবেচনায় ‘বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার কথা।
“এর আগে আলোচনা করে আমরা নতুন মৌসুমে খেলোয়াড়দের আগের চুক্তির ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা বলেছিলাম। পরে খেলোয়াড়রা সভাপতির সঙ্গে বসেছিলেন। আমাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তারা একেকজন একেকরকম বলেছেন, কেউ ৬০ শতাংশ, কেউ ৫০ শতাংশ দাবি করেছেন। তবে বাস্তবসম্মতভাবে আমরা মনে করেছি, কোভিড-১৯ এর কারণে ক্লাবগুলো যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং এখনও অনুদানভিত্তিক অনেক ক্লাব আছে, সব ক্লাবের কিন্তু স্থায়ী আয়ের উৎস একই রকম নয়। সে কারণে ক্লাবগুলো এবং খেলোয়াড়দের কথা বিবেচনায় এনে তাদের পারিশ্রমিক ৩৫ শতাংশ করেছি।”
নতুন সিদ্ধান্তে খুশি নন জাতীয় দল ও আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা। পুনরায় দাবি নিয়ে সভাপতি সালাউদ্দিনের কাছে যাবেন বলেও জানান তিনি।
“এই সিদ্ধান্তে আমরা মোটেই খুশি নই। সভাপতি আমাদের ৪০ শতাংশের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেটা কমানো হয়েছে। আমরা আবারও সভাপতির কাছে যাব।”
‘ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ’-এই সিদ্ধান্তের কারণে ‘সমঝোতার’ সুযোগও থাকছে ক্লাব ও খেলোয়াড়দের মধ্যে। তারকা ফুটবলাররাই এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা বা পারিশ্রমিক আদায় করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সোহেলের চাওয়া সবার জন্য একই সিদ্ধান্ত।
“শীর্ষ কিছু ফুটবলার হয়তো এই হিসেবের বাইরেও ক্লাবগুলোর কাছ থেকে কিছু টাকা বেশি পাবে। কিন্তু এখানে আমরা ব্যক্তিগত কোনো দাবি বা সুবিধা নিতে আসিনি। আমরা এসেছি ঐক্যবদ্ধ হয়ে। সবার জন্যই একরকম সিদ্ধান্ত কামনা করছি।”
খুলনা গেজেট/এএমআর