কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠান আগ্রহী না হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিজস্ব খরচে চালাবে পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা। সোমবার (১২ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
টুর্নামেন্টটি শুরু হতে পারে মধ্য নভেম্বরে। ঢাকা ও সিলেটে হতে পারে ম্যাচ। যদিও টুর্নামেন্ট নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দেশের শীর্ষ ক্রিকেট সংস্থা। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে দুই-একদিনের মধ্যে।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘এটা করপোরেট হোক আর বিসিবির নিজের খরচে হোক, আমরা একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছি মূলত খেলাটাকে মাঠে ফেরানোর জন্য। কিভাবে এ ধরনের (করোনা) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে একটা অভিজ্ঞতাও হবে।’
নিজেদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে নাজমুল আরও বলেন, ‘আমরা পাঁচ দল তৈরি করে দেবো। সবগুলো দল হবে প্রায় একই ধরনের। যদি কেউ দল নেয়, তাহলে নেবে নয়তো বিসিবিই চালাবে। এই টুর্নামেন্ট থেকে অর্থ উপার্জন করবো এরকম কোনও ব্যাপার নেই আমাদের মনে। আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানো এবং এরপর আন্তর্জাতিক, এটা নিয়েই আমরা কাজ করছি।’
বিসিবি জানুয়ারিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দিতে চায়। এজন্য ‘ধীর চলো’ নীতিতে এগোচ্ছে। করোনা মহামারিতে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ক্রিকেটাররা মাঠে ফিরেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলার পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় তারা। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনে উদ্যোগী বিসিবি।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়েও হচ্ছে পরিকল্পনা। জানুয়ারিতে ক্যারিবিয়ানদের আতিথ্য দেওয়ার আগে বিসিবি বড় পরিসরে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চায়। এজন্য ঢাকা ও সিলেটে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা হচ্ছে। বিসিবি সভাপতি সেই কথাই জানালেন সাংবাদিকদের, ‘আমরা বড় পরিসরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটা করতে পারি। এই বড় পরিসরে হওয়ার পেছনে দুটো জিনিস আমাদের কাজ করবে। একটা হচ্ছে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট কিভাবে চালু করা যায়, একটু বড় পরিসরে। দুই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। বাংলাদেশ কিভাবে, কত তাড়াতাড়ি মাঠে নামতে পারে সেটার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
তবে পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টিতে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় বিসিবি প্রধান। তার ভাষ্যে, ‘এখনও আমরা ঠিক করিনি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বিদেশি খেলোয়াড় আনবো কি আনবো না। আনা যে যাবে না, তা নয়।’
বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের পরিবর্তে নাজমুল হাসান স্থানীয়দের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে, ‘যেহেতু দল মাত্র পাঁচটি, তাই বিদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ কম। যদি সাতটা দল হতো, তাহলে বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রভাব কম পড়ত। পাঁচ দলে স্থানীয় ক্রিকেটার থাকবে ৭৫ জন, খেলবে ৫৫ জন। যদি দুইজন করে বিদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ দেই, তাহলে দেশের ১০ জন করে ক্রিকেটার কমে যাবে। এজন্য বিদেশিদের অংশগ্রহণ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আমাদের প্রথম চাওয়া দেশের ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ করে দেওয়া।’
খুলনা গেজেট/এএমআর