খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ মাঘ, ১৪৩১ | ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

দুর্নীতিবাজ আমলা ধরতে নয়া উদ্যোগ

গে‌জেট ডেস্ক

দুর্নীতিবাজ আমলাদের ধরতে নেয়া হয়েছে নতুন উদ্যোগ। এ জন্য ১২ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক। যাতে তলব করা হয়েছে অর্ধশত সরকারি কর্মকর্তার মামলা-অভিযোগের তথ্য। একইসঙ্গে বেড়েছে দুদকের অভিযানের গতি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমনভাবে অভিযান চালানো উচিত যাতে দুর্নীতি করতে কেউ সাহস না পায়।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে বালিশকাণ্ড, ৩৫ লাখ টাকার টয়লেট বানাতে তিন কোটি টাকা, মডেল মসজিদে অনিয়ম কিংবা টাকা তুলে নিলেও শেষ হয় না প্রকল্প। হরহামেশাই এমন খবর শিরোনাম হচ্ছে গণমাধ্যমে। যার পেছনে জড়িত সরকারের কিছু কর্মকর্তা। তাদের লাগাম টানতে চায় রাষ্ট্র। কাজ শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গেল কয়েক সপ্তাহে দুদকের কাছে অন্তত অর্ধডজন চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। চাওয়া হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলার তথ্য। যেখানে আছেন অন্তত ১২টি মন্ত্রণালয়ের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা। অন্যদিকে, সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জমা হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের অভিযানের গতিও বেড়েছে কয়েকগুণ।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশের সরকার প্রধান প্রায়ই কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা ঘোষণা দিচ্ছেন। এটা রাজনৈতিক অঙ্গীকারের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত। তা সত্ত্বেও এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের হাতে তাদের একটা অংশ সরাসরি জড়িত বা এই দুর্নীতি থেকে লাভবান হচ্ছে। এর ফলেই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতিকে ব্যাপকভাবে প্রাতিষ্ঠানিকরণ করা হয়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্মোহভাবে তদন্ত করে যারা দুর্নীতিবাজ যারা অপকর্ম, অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত তাদের যদি শাস্তি দেয়া হয় তাহলে আমদের জন্য এটি ইতিবাচক হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠির প্রেক্ষিতে দুদকের চিঠি গেছে অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন, স্থানীয় সরকার এবং ক্রীড়াসহ অন্তত ১২টি মন্ত্রণালয়ে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদক একটা নিউ ডাইমেনশন। দুদক অচিরেই এই ডাইমেনশটাকে আরও বেগবান করবে। এবং দুর্নীতি বিরোধী সরকারের যে শূন্য সহনশীলতা তা পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে।

দুদকের নজরে আছে বিশ্ববিদ্যালয়, বিআরটিএ, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজউক ও সিটি কর্পোরেশন। তালিকায় আছে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের কয়েকজন নেতার নামও।

একদিকে, দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা লুট আর বিদেশে পাচার, অন্যদিকে বাজেট বাস্তবায়নের হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এমন অবস্থায় দুর্নীতির লাগাম টানতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার, নির্বাচনের আগমুহূর্তে সত্যিকার অর্থে তা কতটুকু বাস্তবায়ন হয় সেটাই দেখার।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!