জাতীয় ফুটবল দলে প্রবাসীদের অনেকেই খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকবার। তাদের মাঝে শুধু জামাল ভূঁইয়াই জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। এবার অবশ্য মেয়েদের ফুটবলেও তেমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মেয়েদের দলে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানি বংশোদ্ভুত বাংলাদেশি মাতসুশিমা সুমাইয়া। ৮ অক্টোবর বাফুফে ভবনে সুমাইয়া বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি ও জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সঙ্গে দেখা করে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে গেছেন।
জাপানে জন্ম নেওয়া সুমাইয়ার মা মাতসুশিমা তমোমি জাপানি এবং বাবা মাসুদুর রহমান বাংলাদেশি। সেই সূত্রে সুমাইয়া বাংলাদেশে আসেন দুই বছর বয়সে। শৈশব থেকে ফুটবলের প্রতি টান থাকাতেই নারী ফুটবলার হিসাবে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তবে তাকে লাল-সবুজ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বাফুফে ভবনে নিজের খেলার আগ্রহের কথা জানিয়ে গেছেন সুমাইয়া।
জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘সুমাইয়া বাংলাদেশ দলে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমাদের সঙ্গে দেখাও করে গেছে। তবে এখনই কোনও বয়সভিত্তিক দলে ওকে ডাকার সম্ভাবনা নেই। বয়সের সীমারেখার কারণে খেলতে পারবে না। তবে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর আগে ট্রায়ালে ওকে ডাকা হবে। সেখানে সে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে তখন আমরা তাকে বিবেচনায় রাখতে পারবো।’
সুমাইয়া অবশ্য এর পরেও খুব আত্মবিশ্বাসী। মনে করেন, ট্রায়াল হলে জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারবেন। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে সুমাইয়া বলেছেন, ‘এটা আমার বাবার দেশ। এখানেই আমি ফুটবল শিখেছি। তাছাড়া ফুুটবল খেলতে আমি খুবই ভালোবাসি। তাই আমি আত্মবিশ্বাসী যে জাতীয় দলে খেলতে পারবো। ট্রায়াল হলে সেখানে নিজের জায়গাটা তৈরি করতে পারবো। সেই আমি সেই আশাতেই আশি।’
ঢাকার সি ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ‘এ’ লেভেলে পড়াশোনা করছেন সুমাইয়া। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত আন্তঃইংলিশ মিডিয়াম স্কুল টুর্নামেন্টে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন। মিডফিল্ড পজিশন ছাড়াও ১৯ বছর বয়সী সুমাইয়া খেলে থাকেন ডিফেন্সে। সেই দলে খেলা সুমাইয়া প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়, শীর্ষ স্কোরার এবং সেরা ডিফেন্ডারও হয়েছিলেন।