তথ্য নেওয়ার জন্য প্রথমে ৭০০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে হতো। পরে পরীক্ষার আগের রাতে প্রতি পরীক্ষার প্রশ্নের জন্য ৫০০ টাকা অগ্রিম নেওয়া হতো। এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণাকারী সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা অপরাধ বিভাগ-ডিবি।
এই অভিযোগে গত মঙ্গল ও বুধবার ঢাকা, নারায়গঞ্জ ও জামালপুর এলাকা থেকে দুই প্রকৌশলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এমন তথ্য পেয়েছে ডিবি।
গ্রপ্তোরকৃতরা হলো আবদুল আহাদ ওরফে রাফিন খান, স্বাগতম চন্দ্র ওরফে মো. বাবুল মিয়া, সাব্বির আহমেদ, মইনুদ্দিন ও বাসুদেব চন্দ্র রায়।
———————————————————————————————–
প্রথমে ৭০০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে হতো। পরে পরীক্ষার আগের রাতে
প্রতি পরীক্ষার প্রশ্নের জন্য ৫০০ টাকা অগ্রিম
——————————————————————
এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান। তিনি বলেন, গ্রপ্তারকৃতরা সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা ২০২১ সাল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা করে আসছিল।
ফেসবুকে শতভাগ প্রশ্নপত্র ফাঁসের নিশ্চয়তা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিত। যারা বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী হতো তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা নিতেন।
ডিবির ভাষ্য, এই চক্রের সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের ভার্চুয়ালি মুদ্রা লেনদেনে জড়িত ব্যক্তিদের যোগাযোগ রয়েছে। তারা ভার্চুয়াল মুদ্রার মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া ছাড়াও মাদক কেনাবেচা করত।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, গ্রপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রশ্ন ফাঁস এবং অনলাইন জুয়ার কাজে ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, ভুয়া প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন সেট, ফেসবুক পেইজে প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি