খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

২০ বছরেও জোটেনি নুরজাহানের বিধবা ভাতার কার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের হতদরিদ্র নারী নুরজাহান খাতুন। স্বামী আবু বক্কর গাজী মারা গেছে প্রায় ২০ বছর আগে। তাদের বসতঘরটি কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। বর্তমানে মাথা গোঁজার মতো কোন ঠাঁই নেই তার।

দিন মজুরী করে এতদিন সংসার চালাতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বর্তমানে কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। স্বামীর মৃত্যুর প্রায় ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও এত দিনেও তাঁর কপালে জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড।

নুরজাহান খাতুন (৫৬) বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে দিনমজুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে তার স্বামী মারা যায়। মেয়ে পারভীনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামী সংসারে বেশিদিন থাকতে পারেনি সে। দ্বিতীয় বিয়ে করে দু’টি শিশু সন্তানসহ তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় স্বামী। দুই ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পৃথক সংসার চালায়। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের তোড়ে নদী ভাঙনে বসতভিটা ভেসে গেছে। এতদিন দিন মজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন নুরজাহান। কিন্তু হঠাৎ বিভিন্ন রোগ তার শরীর বাসা বেধেছে। কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হাঁটাচলা করাও তাঁর পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

নুরজাহান বলেন, ‘নিজের বলতে জীবনটা ছাড়া আর কিছুই যেন নেই আমার। একখন্ড জমি নেই, মাথা গোঁজার মতো একটি ঘরও নেই। পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া গ্রামে ছেলের ভাঙ্গা ঘরের বারান্দায় মাঝে মাঝে যেয়ে থাকি। বর্তমানে শরীরে কোন বল পাই নে। একটা বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ২০ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে গিয়েছি। কিন্তু এখনও কপালে ভাতার একটি কার্ড জোটেনি তার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি নির্বাচিত হবার পর এখনও বিধবা ভাতার কার্ডের তালিকা হয়নি। নুরজাহান একজন অসহায় মহিলা। আগামীতে কার্ড আসলে তাকে অবশ্যই ব্যবস্থা করা হবে।

খেশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। আগামীতে কার্ড আসলে নুরজাহান খাতুনকে বিধবা ভাতার কার্ডের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।

তবে তালা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুমনা শারমিন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!