রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারসহ (ওটি) অন্যান্য সব কার্যক্রম ছয় শর্তে চালু করার অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনকসমূহ) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইডেন কলেজের ছাত্রী মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৬ জুন থেকে ওটিসহ বেশ কিছু কর্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার আবার তা চালু করার অনুমোদন পেল হাসপাতালটি।
যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে—
ছয় শর্তে সেন্ট্রাল হাসপাতালকে কার্যক্রম চালুর অনুমতি
ড্যাজলিং ডনে যোগ দিলেন দুলাল আহমদ চৌধুরী
১. সেন্ট্রাল হাসপাতালে কনসালট্যান্সি সেবাদানকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নাম, বিশেষজ্ঞ সেবার বিষয় এবং সেবা মূল্য উল্লেখ করে তালিকা দৃশ্যমান জায়গায় প্রদর্শন করতে হবে।
২. হাসপাতালে সেবা নিতে আসা সব রোগীর সিরিয়াল এবং বিশেষজ্ঞ সেবার তথ্যের জন্য হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইন তথ্যকেন্দ্র থাকতে হবে।
৩. আইসিইউতে প্রতিদিনই ২৪ ঘণ্টা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
৪. এনআইসিইউতে ২৪ ঘণ্টা সাত দিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. আগামী এক বছর সিজারিয়ান সেকশন, নরমাল ডেলিভারির সব তথ্য প্রতি মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠাতে হবে।
৬. আগামী এক বছর প্রতি মাসে আইসিইউ এবং এনআইসিইউতে ভর্তি রোগীর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী এক বছর সব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এসব নির্দেশ পালনে ব্যত্যয় ঘটলে হাসপাতাল পরিচালনায় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২১ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটি গত ৩ আগস্ট মৃত্যুর ঘটনায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল, সংযুক্তা সোহাসহ আরও দুই চিকিৎসক এবং মৃতের স্বামীকে দায়ী করে প্রতিবেদনে দাখিল করে এবং সেন্ট্রাল হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সে দিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়।
একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১০ জুন বিকেলে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। গত ১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নবজাতকের মা মাহবুবা রহমান আঁখিও।
খুলনা গেজেট/ টিএ