বিচার বিভাগ দিকনির্দেশনা দিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর জন্য জোর তদবির চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
এদিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এখন তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কিনা, এ প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা যদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আমাদের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) অনুরোধ করে তাহলে অবশ্যই আমরা…।
ড. মোমেন বলেন, আমরা এরইমধ্যে ব্রিটিশ সরকারকে বলেছি, যারা অবৈধ এমন লোক রয়েছে তাদের পাঠাতে। কিন্তু তারা এখনো পাঠায়নি। আপনি বরং এটা আমাদের বিচার বিভাগকে জিজ্ঞাসা করেন। আমাদের দিকনির্দেশনা দেবে তারা। তখন আমরা অবশ্যই জোর তদবির চালাব। কিন্তু পাঠানোর দায়িত্ব ওই দেশের সরকারের।
কোন স্ট্যাটাসে লন্ডনে আছেন তারেক রহমান, এ প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আপনাদের মতো আমি সর্বজান্তা না।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ার তারেক রহমানের ৯ বছরের এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব কাজে বিভিন্ন সময় তারেককে সহযোগিতা করার দায়ে তার স্ত্রীকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে চার মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে তারেকের। আরও একাধিক মামলা চলমান তার বিরুদ্ধে। তবে তার স্ত্রী জুবাইদার বিরুদ্ধে এটি প্রথম ও একমাত্র মামলার রয়ে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবীরা।
২০০৭ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক ও তার স্ত্রী জুবাইদার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৬(২) ধারার অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর এবং ২৭(১) ধারায় অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর।
এ মামলায় ২৭ জুলাই দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২ আগস্ট তারিখ ধার্য করে।