নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে যেতে পাকিস্তানের লক্ষ্যটা ছিল ৬০ রানের। শুরুতেই পাকিস্তানের মেয়েদের চেপে ধরে বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ দিকে জিততে দুই ওভারে ২০ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে শেষ ওভারে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রানে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি তারা। ফলে ৬ রানের জয়ে নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
হংকংয়ের টিন কং রোড রিক্রেয়েশন গ্রাউন্ডে দ্বিতিয় সেমি ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৯ ওভারে ৫৯ রান করে বাংলাদেশ নারী দল। জবাবে ৯ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তানের মেয়েরা।
মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই হানা দেয় বৃষ্টি। যে কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৯ ওভারে। বৃষ্টিস্নাত উইকেটে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৪ রানে সাথী রানিকে বোল্ড করে টাইগ্রেস শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ফাতিমা সানা। সেই থেকে শুরু। এরপর আর ১২ রান যোগ করতেই প্রথম সারির আরও ৫ ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ নারী দল।
১৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল দল, তখন খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেন নাহিদা আক্তার। তার ১৬ বলে ২১ রানের ইনিংসে বড় করে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তুলে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল পাকিস্তান নারী দল। শাওয়াল জুলফিকার এবং এমা ফাতিমার ব্যাটে ওপেনিং জুটিতেই প্রায় অর্ধেক রান তুলেছিল পাকিস্তান। ১৮ রান করে ফাতিমা সাজঘরে ফিরলে ভাঙ্গে ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে এরপরও পথা হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রানে থামে পাকিস্তান।
এর আগে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। জুনিয়র টাইগ্রেসদের ১৪৮ রানের জবাবে মালয়েশিয়া ৮ উইকেটে মাত্র ৫১ রানেই থেমে যায়। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় সেই ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। ফলে দুদলই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয়।
তৃতীয় ম্যাচেও প্রকৃতির একই রূপ। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে ম্যাচটি, আরেকটি নিষ্পত্তিহীন ম্যাচের অর্ধেক পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এমএম