খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

৪৪৪ রত্নসহ যা আছে ব্রিটিশ রাজমুকুটে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সেইন্ট অ্যাডওয়ার্ডের ঐতিহাসিক রাজমুকুট ৬ মে (শনিবার) দুপুরে রাজা তৃতীয় চার্লসের মাথায় পরিয়ে দেওয়া হবে। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরপরই রাজা হন ছেলে চার্লস। আগামী শনিবার অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতীকীভাবে তার রাজত্বকাল শুরু হবে। বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ব্রিটিশ রাজমুকুটের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৫৩ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার অভিষেকের সময় সেইন্ট অ্যাডওয়ার্ডের এই রাজমুকুট সর্বশেষ পরেছিলেন। তারপর ৭০ বছর এই মুকুট টাওয়ার অব লন্ডন থেকে খুব একটা বাইরে যায়নি। ৩৬০ বছরের পুরনো এই রাজমুকুট লম্বায় এক ফুট এবং এর ওজন প্রায় ৫ পাউন্ড বা সোয়া দুই কেজি।

২২ ক্যারেট স্বর্ণের তৈরি এই মুকুটে ৪৪৪টি রত্ন রয়েছে, যার মধ্যে আছে বহুমূল্য স্যাফায়ার, রুবি, অ্যামেথিস্ট এবং টোপাজ। এদের বেশিরভাগই হালকা নীল বা নীলচে সবুজ রংয়ের। এনামেল ও স্বর্ণের খোপে বসানো হয়েছে এসব রত্ন। এক সময় মুকুটের এসব রত্ন খুলে আলাদা করা যেত এবং অভিষেকের সময় সেগুলো নতুন করে বসানো হতো। তবে ২০ শতকেই এসব রত্ন মুকুটে স্থায়ীভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়।

মুকুটটি ১৬৬১ সালে দ্বিতীয় চার্লসের জন্য তৈরি হয়েছিল। এর নাম রাখা হয় অ্যাংলো-স্যাক্সন রাজা ও সেইন্ট অ্যাডওয়ার্ড দ্য কনফেসারের নামে।

অ্যাডওয়ার্ডের এই মুকুটকে পবিত্র বলে গণ্য করা হয় এবং কয়েকশ বছর ধরে অভিষেকে ব্যবহার করা হচ্ছে এ মুকুট।

ঐতিহাসিক আনা কিয়ে বলেন, সেই সময় মুকুট তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৫০০ পাউন্ড, আজকের দিনে যা ৭৫ হাজার পাউন্ড সমপরিমাণ। মুকুটের গোলকে চারটি ক্রস ও লিলি ফুল এবং একেবারে কেন্দ্রে দুটি খিলান রয়েছে। খিলানগুলো ছোট স্বর্ণের পুঁতি দিয়ে ঢাকা, যা আগে কৃত্রিম মুক্তার সারি দিয়ে ঘেরা ছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সেইন্ট অ্যাডওয়ার্ডের রাজমুকুটকে একটি রাজকীয় প্রতীকে পরিণত করেছিলেন।

ঐতিহাসিক ট্রেসি বোরম্যান বলেন, সেইন্ট অ্যাডওয়ার্ডের মুকুট পরিষ্কার বার্তা দেয় যে, রাজতন্ত্র একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান এবং এটি স্থায়ী।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!