খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

অস্বাভাবিক ব্যয় : ৯ বারেও পূরণ করা যায়নি হজ কোটা

গেজেট ডেস্ক

নবম দফায় বাড়ানো মেয়াদের শেষ দিন ছিল গতকাল মঙ্গলবার। এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার ৪০৩ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ কোটা পূরণ হতে এখনও নিবন্ধন করতে হবে ৬ হাজার ৭৯৫ জনকে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জন হজ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত কাজে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হবেন। এরপরও কোটা পূরণ হতে বাকি থাকবে ৩ হাজার ৮০০ জনের মতো। হজ চুক্তি সংশোধন করে খালি থাকা কোটা ফেরত দেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায়  বলেন, আগামীকাল সৌদি আরবকে হজ কোটা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। এর জন্য হজ চুক্তি সংশোধন করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সরকারিভাবে একটিমাত্র প্যাকেজ ঘোষণা করায় এবার হজযাত্রীদের ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। অন্যান্য বছরের মতো দুটি প্যাকেজ হলে খরচ অনেক কমত।

একটি প্যাকেজে বিমান ও বাড়ি ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করায় সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের ব্যয় বেড়েছে। তবে তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেসরকারি হজযাত্রীরা। অন্যান্য বছর হজ নিবন্ধনের সুযোগ পেতে প্রতিযোগিতা চলত। এ বছর ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি। ফেরত দিতে হচ্ছে তিন হাজারের বেশি কোটা। এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে ইচ্ছুকদের সৌদি আরবে যাওয়া-আসার ব্যবস্থা করে হজ এজেন্সিগুলো। এ জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর জন্য ঘোষিত খরচের হিসাব জানার পর বেসরকারি এজেন্সিগুলো তাদের খরচ ঘোষণা করে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য অনেক বেশি খরচের প্যাকেজ ঘোষণা করার অভিযোগ রয়েছে। আর বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ অনুসরণ করায় বেসরকারি হজযাত্রীদের ব্যয় অনেক বেড়েছে।

অন্যান্য বছর সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এতে অপেক্ষাকৃত কম দামি প্যাকেজের সঙ্গে সংগতি রেখে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো। এতে অন্তত ১ লাখ টাকা কমে হজে যাওয়ার সুযোগ হয়। তবে এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় উচ্চমূল্যের মাত্র একটি প্যাকেজ ঘোষণা করায় বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোও তা অনুসরণ করেছে। ফলে বেসরকারি হজযাত্রীদের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হজ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের মূল নেতৃত্বে থাকা পদস্থ কর্মকর্তাদের হজ-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা ছাড়া তদারকিতেও রয়েছে ঘাটতি। কোনো কোনো পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে হজ সম্পর্কিত যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁদের নির্ভর করতে হয়েছে অন্যদের ওপর। আবার শীর্ষ কর্মকর্তাদের একক সিদ্ধান্তে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে হজ প্যাকেজ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে হজযাত্রীদের স্বার্থ দেখা হয়নি। এতে লাভবান হয়েছে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো।

বেশি আলোচনা বাড়ি ও বিমান ভাড়ায়
হজ প্যাকেজের খরচে ১৬ ধাপের মধ্যে বিমান একটি। বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো শুধু বিমান ভাড়াকেই টার্গেট করেছে। কারণ বিমান ভাড়া কমালে এজেন্সি মালিকদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু হজ প্যাকেজের বাকি ১৫ ধাপের মধ্যে যদি বাড়ি ভাড়া কমানো হয়, তাহলে এজেন্সি মালিকদের ব্যবসায় কম লাভ হবে। এমন তথ্যই জানিয়েছেন হজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ একাধিক কর্মকর্তা। অনেক এজেন্সি হজের সময় মক্কা-মদিনায় আবাসনের ব্যবসায় জড়িত।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, ডলার ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিমানের ভাড়া বেশি ধরা হয়েছে ১৫ শতাংশ। বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে এর বড় ধরনের অসংগতি নেই। হজের অন্য খাতেও অনেক খরচ বেড়েছে। কিন্তু সেগুলোর বিষয়ে তেমন আলোচনা হচ্ছে না।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!