খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক শিক্ষক ও উপসর্গে আরো দুই জনের মৃত্যু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আব্দুল মান্নান নামের একজন শিক্ষক এবং উপসর্গ নিয়ে গুরু চন্দ্র দাশ ও আতাউর রহমান নামের আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল মান্নান বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা, লক্ষন চন্দ্র দাশ সকাল ৯ টা ও আতাউর রহমান বুধবার বেলা ১২টার দিকে মারা যান।

করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শিক্ষক আব্দুল মান্নান মাষ্টার (৩৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বড়খামার গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া গুরু চন্দ্র দাশ (৬৫) তালা উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের ছত্রধার দাশের ছেলে এবং আতাউর রহামন (৩৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘোরিয়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে। হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৭ জুলাই সাতক্ষীরা মডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভতি হন মাষ্টার আব্দুল মান্নান। ১৪ জুলাই তার করোনা রির্পোট পজেটিভ আসে। হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৫ জুলাই মডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভতি হন গুরু চন্দ্র দাশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

এছাড়া একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে ১২ জুলাই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন অতাউর রহামন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনো রির্পোট আসেনি। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা ১২টার দিকে মারা যান তিনি।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপসর্গে মৃত গুরু চন্দ্র দাশের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে গুরু চন্দ্র দাশের লাশ সৎকার ও আব্দুল মানান এবং আতাউর রহমানের লাশ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!