মরদেহ দান করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দাফন করা হচ্ছে প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে। অাজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সাভারে পঞ্চম জানাজার পর নিজের প্রতিষ্ঠিত সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যাম্পাসে তাকে দাফন করা হবে।
গত মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার মরদেহ দান করার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর পারিবারিকভাবে আলোচনার পর আজ বৃহস্পতিবার ( ১৩ এপ্রিল ) তার ছেলে বারিশ চৌধুরী জানান, তার বাবার মরদেহ দান করার কথা থাকলেও দুটি হাসপাতালের অপারগতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু গণমাধ্যমে বলেন, স্যারের মরদেহ দান করার বিষয়টি কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে হয়নি। তিনি একটি লেখা লিখেছিলেন, সে লেখায় তিনি মরদেহ দান করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। সেই লেখাটি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে সংরক্ষিত আছে। তবে সেই লেখাটিতে সাইন করেননি জাফরুল্লাহ স্যার।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ এপ্রিল ) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় জানাজার আগে তার সন্তান বারিশ চৌধুরী বলেন, আমার বাবার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল তার দেহ মেডিক্যাল সায়েন্সের জন্য দান করে যাবেন। আমরা দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে মরদেহ গ্রহণ না করার বিষয়ে জানানো হয়। তারা সম্মান দেখিয়ে বলেছেন, বাবার গায়ে ছুরি লাগাতে পারবেন না।
জানা যায়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিগত পাঁচ-ছয় বছর যাবৎ ঘনিষ্ঠজনদের কাছে মরদেহ দানের বিষয়টি আলোচনা করতেন।