খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭
  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ

খুলনায় সার্ভেয়ারকে মারপিটের ঘটনায় তদন্ত 

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার কয়রায় আমাদী ইউনিয়নের সরকারি জলমহালের সীমনা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে সার্ভেয়ার মোঃ আক্তারুজ্জানকে মারপিটের ঘটনায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা। তিনি  কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল,তার অনুসারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের  বয়ান শুনেছেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা বলেন,সার্ভেয়ারকে মারপিটের ঘটনায় জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে সাত দিনের মধ্য তদন্তপূর্বক রিপোর্ট জমাদনের নির্দেশ দিয়েছন।সাত দিনের মধ্য রিপোর্ট জমাদানের জন্য আজ বেশ কয়েক জনের বয়ান গ্রহণ করেছি।
উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী দারুল হুদার সঙ্গে আমাদী ইউনিয়নের খেওনা মৌজার একটি সরকারি জলমহালের সীমানা নির্ধারণের জন্য যান ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ আক্তারুজ্জান। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর একজন লোক এসে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জলমহালটির সীমানা মাপতে নিষেধ করেছেন। এরপর জলমহাল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁরা আমাদী ইউনিয়নের পাটনিখালী গ্রামের রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে চেয়ারম্যান জিয়াউর এসেই তাঁদের সঙ্গে উদ্ধ্যতপূর্ণ আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেখানোর জন্য সার্ভেয়ার আক্তারুজ্জামান মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর, তাঁর ভাই, ওই ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মইনুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে মারপিট করেন। গত ৬ এপ্রিল মারপিটের ঘটনায় ভুক্তভোগী সার্ভেয়ার খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!