খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া এলাকায় পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুুতির ঘটনার মামলার প্রধান হোতা লিটন দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই মামলার আরও ৪ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়ার জিলেরডাঙ্গা নামক স্হানে গত মঙ্গলবার দিবাগর রাত আড়াইটার দিকে একদল লোক ডাকাতির প্রস্তুুতি নিচ্ছিল। এ সময় থানা পুলিশের টহলটীম তাদের চ্যালেঞ্জ করে দলের ৪জন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যানরা পালিয়ে যায়।
ধৃত ডাকাতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১টি পিস্তল, ১টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটারগান, ২টি ম্যাগজিন এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি ট্রাক, ১টি মোটরসাইকেল, ২টি মোবাইল ফোন সেট এবং ‘পুলিশ’ লেখা সম্বলিত একটি ব্যাগ জব্দ করে।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে পৃথকভাবে দুটি মামলা রুজু হয়। ওই ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান হোতা পলাতক আসামী থানার মিকশিমিল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে লিটন দেওয়ান(৩২)কে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হল কয়রা থানার মহেশ্বরীপুর এলাকার মৃত নিছার ঢালীর ছেলে কামাল ঢালী (৩১), ডুমুরিয়া থানার টোলনা দক্ষিণপাড়া এলাকার মুজিবর বিশ্বাসের ছেলে জিহাদুল বিশ্বাস (২৮) ও একই এলাকার সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে শামীম বিশ্বাস (৩১), যশোর জেলার কেশবপুর থানার বসুন্দিয়া গ্রামের কাশেম আলী সরদারের ছেলে মাহাবুর রহমান (৩৯)।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া জানান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল দুস্কৃতিকারী খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়া এলাকায় ঘুরাঘুরি করছিল। এ সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে ২টি অস্ত্র, ম্যাগজিনসহ আটক এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল, ট্রাকসহ অন্যান সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এরা মুলতঃ একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এ দলে ৮/৯ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রয়েছে। ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে এরা জড়িত।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় পৃথক ভাবে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা রুজ করে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ এবং দুটি মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড