২০১১ সালে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ এক যুগ পেরিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন পায়নি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্যান্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কমিটি ও কার্যক্রম চলমান থাকলেও কেন্দ্র ঘোষিত সব অনুষ্ঠানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা সত্বেও এক যুগ ধরে স্বীকৃতিহীন ভাবে কার্যক্রম চলে ছাত্রলীগের। এতে হতাশ হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধুর নামে তার নিজ এলাকায় সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে তারই গড়া ছাত্র সংগঠনের কমিটি না থাকায় হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ বাড়ছিলো নেতাকর্মীদের মাঝে।
এদিকে, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি দেয়ার লক্ষ্যে জীবন বৃত্তান্ত চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৭ দিনের মধ্যে পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছে। বিভিন্ন ছাত্রনেতাকে প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃত্বে দেখতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা।
পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শেখ তারেক, সম্রাট বিশ্বাস, বাবুল শিকদার বাবু,ফাহাদ সার্জিল, মোল্লা লজিস, রাশা সিকদার, চন্দ্রনাথ মজুমদার, শেখ মেহেদী হাসান প্রান্ত, শেখ লিখন,পাবেল সিকদারের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুতই বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি দেয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
খুলনা গেজেট/এমএম