সাকিবকে দলে ভিড়িয়েও না পাওয়া এবং ইনজুরিতে নিয়মিত অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে যাওয়া; এমন দুটি বড় দুঃসংবাদের পর হার দিয়ে আসর শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো তারা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে দিল বিশাল ব্যবধানে।
২০২৩ আইপিএলের নবম ম্যাচে আজ ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনসে শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২০৪ রানের সংগ্রহ পায় কলকাতা। জবাবে ১২৩ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে ব্যাঙ্গালুরু। ফলে ৮১ রানের বিশাল জয় পায় কলকাতা। এর আগে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা বৃষ্টি আইনে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৭ রানে হেরেছিল।
আজ টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা কলকাতার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ২৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর অধিনায়ক নিতিশ রানা (১) ব্যর্থ হলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কলকাতা। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। রিংকু সিংকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার পাশাপাশি ফিফটির দেখাও পান এই আফগান উইকেটকিপার-ব্যাটার। ৪৪ বলে ৫৭ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর বিধ্বংসী ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় নিলে ফের চাপে পড়ে যায় কলকাতা। কিন্তু রিংকু এবং শার্দূল ঠাকুর কলকাতাকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান। দারুণ খেলতে থাকা রিংকু অল্পের জন্য ফিফটি মিস করেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে বিদায় নেওয়ার আগে ৩৩ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। ইনিংসটি ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো।
তবে শার্দূল ফিফটি মিস করেননি। বরং রিংকুর চেয়ে তিনি ছিলেন বেশি আগ্রাসী। মাত্র ২৯ বলে ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন এই লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার। ৩টি ছক্কার পাশাপাশি ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে তিনি যখন আউট হন, ততক্ষণে দুইশর একদম কাছাকাছি পৌঁছে গেছে কলকাতা। বাকি দুই বলে ৬ রান তুলে বাকি কাজ সারেন উমেশ যাদব।
বল হাতে ব্যাঙ্গালুরুর প্রায় সব বোলার বেদম পিটুনি খেয়েছেন। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম ডেভিড উইলি। এই ইংলিশ পেস বোলিং অলরাউন্ডার ৪ ওভারে ১৬ রান খরচে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। কর্ণ শর্মাও ২ উইকেট পেয়েছেন, তবে ৩ ওভার বল করে খরচ করেছেন ৩৪ রান। এছাড়া মোহাম্মদ সিরাজ, ব্রেসওয়েল এবং হার্শাল প্যাটেল ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল ব্যাঙ্গালুরুর। দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি মিলে ৪.৫ ওভারে তুলে ফেলেছিলেন ৪৪ রান। কিন্তু ৩ বলের ব্যবধানে দুজনেই বিদায় নিলে খেই হারিয়ে ফেলে দলটি। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২১ রান এবং অধিনায়ক ডু প্লেসি ১২ বলের মোকাবিলায় খেলেন ২৩ রানের ইনিংস।
এরপর কার্যত ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় ব্যাঙ্গালুরু। দুই প্রান্তেই চলে আসা-যাওয়ার মিছিল। দলীয় ৮৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। শেষদিকে উইলির ২০* এবং আকাশ দীপের ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোমতে ১২০ ছাড়ায় ব্যাঙ্গালুরু। ১৭.৪ ওভারেই গুঁটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। বল হাতে কলকাতার বরুণ চক্রবর্তী মাত্র ১৫ রান খরচে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।