২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা (সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী)। সর্বশেষ হিসাব মতে (১ মার্চ পর্যন্ত) হজে যেতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৩৫ হাজার ৫৩৫ জন (সরকারিভাবে ৭ হাজার ৫৫৫ ও বেসরকারিভাবে ২৭ হাজার ৯৮০)। অর্থাৎ এক লাখ ২৭ হাজারের কোটা পূরণ করতে প্রয়োজন আরও ৯১ হাজার হজযাত্রী।
জানা গেছে, অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে হজের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন হজগমুনেচ্ছুরা। যার কারণে প্রাক নিবন্ধন করেও চূড়ান্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারছেন না তারা।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই প্রায় দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।
সূত্রটি জানায়, হজে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন প্রায় আড়াই লাখ হজ গমনেচ্ছু মুসল্লি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক হিসেবে প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন। এদের মধ্যে আট হাজার ৩৯১ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী হজের নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় এই মেয়াদ ৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এই সাতদিনে ৯১ হাজার নিবন্ধন হবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।