সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আদি যমুনা নদী পুনঃখননে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কালিগঞ্জ শাখার উদ্যোগে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কালিগঞ্জ-শ্যামনগর সড়কের মৌতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কমিটির সভাপতি ও বিষ্ণুপুর ইউপি’র সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।
উপজেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হাবিব ফেরদৌস শিমুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানূর রহমান, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশেক মেহেদী, আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা ডি আর এম আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশার, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলী, অ্যাড. শামীম জাহান রুবেল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, আদি যমুনা নদীর কালিগঞ্জ অংশে নদী খননে যে দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে তা কল্পনাতীত।
২০১০ সালে ৮০ ফুট প্রশস্ত করে নদীটি খনন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেই যমুনা নদী ৬০ ফুট খনন করে বাকি ২০ ফুট ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। ওয়াপদা ও একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যোগসাজশের মাধ্যমে এই অনিয়ম চলছে।
তিনি আরও বলেন, এ অ লের ৪৪ টি খাল এবং ৪২টি বিলের সাথে সম্পৃক্ত মানুষের জীবন জীবিকায় এই আঁদি যমুনা নদী ভূমিকা রাখে। কিন্তু বর্তমানে তা ব্যাহত হচ্ছে। ভারতের ইছামতি নদীর লবণাক্ততা পানি যমুনা নদী হয়ে মাদার নদী দিয়ে মাল নদীতে পড়ে। সেই পানি সুন্দরবনের তথা কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার জীববৈচিত্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভে টিম ৪ কোটি টাকার এস্টিমেট দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান খননে এক কোটি টাকাও ব্যয় হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সকলের ধারণা। এছাড়াও আদি যমুনা নদী খননে কালিগঞ্জ কিংবা শ্যামনগর অংশের কোথাও প্রকল্পের সাইনবোর্ড নেই। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক উন্নয়নকারীদের অভিযোগ যে, তাদের লাগানো গাছ মাটি চাপা দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। এলাকার কিছু ভূমিদুস্য সরকারি জায়গা দখল করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। এঘটনায় জড়িত সকলকে চিহিৃত করে দৃষ্টমূলক শাস্তি প্রদান ও যথাযথ ভাবে যমুনা নদী পুনঃখনন করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএম