ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বৈদ্যুতিক খুটি পোতা নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষ চন্দন গ্রুপের হামলা মারধরে আহত সাজ্জাদুল হক (৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর প্রতিবাদে এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা হামলাকারিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ঘটনায় রুমন ও কাউসার নামে দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
এসময় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আতাউর রহমান, এনামুল হক, জুলেখা খাতুন, শফিকুল ইসলাম, স্বপন, লাল মিয়া মেম্বার, মার্শাদুল, কালাম, জাহেদুল। আতাউর রহমান নিহতের ছেলে আর অধিকাংশই তাদের স্বজন। নিহত সাজ্জাদুল রামগোপালপুর ইউনিয়নের পাচলাশি গ্রামের মৃত তাহির উদ্দিনের ছেলে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার পাছলাসি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। গৌরীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মনিরুজ্জামান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, স্থানীয় গ্রামবাসী ও গনমাধ্যমকর্মীরা জানান, আজ সকাল এগারটায় বিদ্যুতের খুটি পোতার জন্য পিডিবি থেকে লোকজন আসে। খুটি কোথায় পোতা হবে এনিয়ে চন্দন গ্রুপের সাথে সাজ্জাদুল হক (৬) কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে রামদা লাটি নিয়ে সাজ্জাদুল ও তার ছেলে আতাউরের ওপর হামলা করে চন্দন গ্রুপের রায়হান, ইসলাম, বাবুল, উজ্জল, সুজন, আর্শেদ আলী, চান মিয়া, শাওন, মেরাজ, রুমন, কাউসার। এতে সাজ্জাদুল গুরুতর আহত হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা তিনটার দিকে সে মারা যায়।
এদিকে এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ জনতা চন্দনগ্রুপের কমপক্ষে বিশটি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে দু’ঘন্টা পর গৌরীপুর থেকে দমকল বিভাগের কমীর্রা আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই পুলিশ স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড