ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)–সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাশে স্থাপিত পেরেকবিদ্ধ ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্য হাতে, আর মুখে ‘টেপ’ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাস্কর্যটি আর দেখা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার ভোরে এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা ভাস্কর্যটি সরিয়েছে তার জানা যায়নি।
সরিয়ে ফেলার প্রতিবাদে সেখানে ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’ এমন লেখা সম্বলিত ব্যানার টানানো হয়েছে।
মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর সেন্সরশিপ এবং সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল। এটার
উচ্চতা ছিল সাড়ে ১৯ ফুট। বাঁশ, থার্মোকল ও বইয়ের কাগজ দিয়ে এটি তৈরি করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একদল শিক্ষার্থী। এমন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরাও। লেখক, শিল্পী ও সাংবাদিকসহ দেশের সব পর্যায়ের মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধার প্রতিবাদে নির্মিত ভাস্কর্যটি চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজু ভাস্কর্যের পাশে রাখার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগের ছাত্র শিমুল কুম্ভকার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে ভাস্কর্যটি দেখতে পাচ্ছি না। আসলে ভাস্কর্যটি গুম করে ফেলা হয়েছে।কে বা কারা এটি সরিয়ে ফেলেছে তার বুঝতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘একটা ভাস্কর্যের পাশে আরেকটা ভাস্কর্য বসিয়ে এর সৌন্দর্য নষ্ট করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কারা এমন কাজ করছেন তা, জানার চেষ্টা করছি।’